দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে হিলিতে ট্রেন ট্রাজেডি দিবস পালিত

- আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫৪০ বার পড়া হয়েছে
যথাযথ মর্যাদায় কালো ব্যাচ ধারন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে দিনাজপুর হিলিতে মর্মান্তিক ট্রেন ট্রাজেডি দিবস পালন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে কালো ব্যাচ ধারণ ও বিকেল সাড়ে ৪টায় হিলি রেলস্টেশনে স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের উদ্যোগে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রেলওয়ে একতা ক্লাবের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সহ-সভাপতি প্রভাষক মোঃ শাহিনুর ইসলাম, প্রভাষক এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, যুগ্ন সম্পাদক বিপুল, পৌর বিএনপির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত ফরিদ খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, রেলওয়ে একতা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু, অনুষ্ঠানের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, সীমান্ত শিখা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন সহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সে সময়ের স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টম্যান এর দ্বায়িত্ব অবহেলার কারণে এই মার্মন্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে এসব দ্বায়িত্বরত ব্যক্তিদের সচেতন থাকার আহবান জানান। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে হিলি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন সহ এই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি হিলি রেলস্টেশনে সকল ট্রেনের বিরতী ও দূর্ঘটনাটায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতি পূরণ সহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আলোচনা সভা শেষে নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাত সোয়া ৯টায় রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিলো গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন। তবে সে সময়ের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে সরকারি হিসেব মতে ২৭ জন যাত্রী নিহত হন।